তবে কি এবার নতুন সমীকরণ দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরায়

এবার আরো একবার উত্তপ্ত হয়ে ইঠল রাজ্যের শাসক দলের আগামী লক্ষ্য ত্রিপুরা৷ আরো একবার রাজনৈতিক কলহ দেখলো ত্রিপুরাবাসী৷ এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল৷ রবিবার ত্রিপুরায় গ্রেফতার হন সায়নী৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনের পথে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির৷ এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল সিপিএম৷ বিজেপি’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠে প্রেস বিবৃতি জারি করল রাজ্য নেৃতত্ব৷ 

ত্রিপুরা সিপিএমের তরফে বিবৃতি জারি করে রাখাল মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্যে পুরসংস্থাগুলির নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক বিজেপির ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাস বাড়ছে।’’ তৃণমূলের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে ওই বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘থানার ভিতর জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা থানা চত্বরে ঢুকে পড়ে৷ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের আক্রমণ করে ভাঙচুর চালিয়েছে।’’ বিবৃতিতে নিন্দা প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘‘সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে।” 

শুধু রাখাল মজুমদারই নন, সিপিআইএম ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী ফেসবুক পোস্টে গর্জে উঠেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘রাজ্যের ঐতিহ্য, সুনাম এবং গর্ব যেটুকু অবশিষ্ট রয়েছে, তাও শেষ করে দিতে চাইছে বিজেপি। এই ধ্বংসলীলা রুখতেই হবে। আসুন, সবাই মিলে একসঙ্গে পথে নামি।’’ প্রসঙ্গত, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট৷ তার আগে ত্রিপুরার পুরভোটকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল৷ যার জন্য বারবার সে রাজ্য ছুটে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তবে বারবার সেখানে বিরোধীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *