সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরের আলোচনায় দুই দেশই বাহিনীকে পিছিয়ে নেওয়া এবং উত্তেজনা কমানোর কথা বললেও বাস্তবে দু’ পক্ষই পরস্পরের গতিবিধির উপরে নজর রেখে চলেছে৷ সেই নীতি অনুসরণ করেই চিনের সঙ্গে সমান তালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে ভারতীয় সেনা৷
পিছু হঠার কথা বললেও চিনে প্রায় ৫০ হাজার সেনার জমায়েত করে ফেলেছে চিন৷ তার সঙ্গে এয়ার ডিফেন্স রাডার বসানো, মাটি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করার মিসাইলও সীমান্তের ওপারে নিয়ে এসেছে চিন৷ প্রতিপক্ষের সঙ্গে এঁটে উঠতে এবার ভারতও মিসাইল ছুড়তে সক্ষম এক স্কোয়াড্রন টি-৯০ ট্যাঙ্ক (১২টি), সেনা বহনে সক্ষম সশস্ত্র যান এবং ৪ হাজার সেনার পূর্ণ একটি ব্রিগেডকে দৌলত বেগ ওল্ডিতে মোতায়েন করা হয়েছে৷ ৪৬ টন ওজনের টি-৯০ ট্যাঙ্কের ভার যেহেতু কয়েকটি সেতুর পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়, তাই যেখানে নদীর গভীরতা কম, সেখানে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এই ট্যাঙ্কগুলিকে নদীর পার করিয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
ভারতীয় সেনার কমান্ডারদের মতে, পিএলএ-র মূল উদ্দেশ্যই হল এবারের গ্রীষ্মের মধ্যেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত ১১৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে জায়গাগুলি নিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের সংঘাত, সেগুলি নিজেদের দখলে নিয়ে চিনের দাবি মতো ১৯৬০ সালের মানচিত্রকে প্রতিষ্ঠা করা ৷ যদিও গত ১৫ জুন চিনা বাহিনীর সেই অপচেষ্টাকে রুখে দেয় ভারতীয় সেনার বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরা ৷