গরমে পথ চলতি মানুষদের ঠান্ডা পানীয় খাওয়াতে লক্ষ্য করা গেলো সকাল থেকেই

বিভিন্ন কাজে পথে বের হওয়া মানুষকে ঠাণ্ডা জলের বোতলে চুমুক দিতে দেখা যায়। তিব্র গরমে মানুষের পাশাপাশি পশুদের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায় অস্থিরতা।জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি শহরে পথ চলতি মানুষদের ঠান্ডা পানীয় খাওয়াতে সকাল থেকেই দেখা গেল মারওয়ারী মহিলা সংগঠনকে। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার উপপুরপিতা রাজেশ কুমার সিং। মহিলাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক কে কে কর্মকার বলেন, এই গরমে খুব প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের হওয়া যাবে না, স্যালাইন জল খেতে হবে, ডাবের জল খেলে ভালো। গরমে সিন্থেটিক পোশাক পড়া যাবে না সাধারণের পোশাক পড়া উচিত। এই রোদের হাত থেকে বাঁচতে টুপি, ছাতা ও সানগ্লাস পড়ে বাইরে বের হওয়া উচিত।লাগাতার বাড়ছে সূর্যের জোর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার তাপমাত্রা চড়তে শুরু করবে। আজ থেকে অন্তত ২ দিন তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে রাজ্যে। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্তও পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যার দরুন উত্তর-পশ্চিমের গরম শুকনো হাওয়া বইবে বঙ্গজুড়ে। দিনের তাপমাত্রা কমপক্ষে ২ ডিগ্রি বাড়তে পারে। আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। পাশাপাশি তালিকায় রয়েছে মালদা-দক্ষিণ দিনাজপুরেও।উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং ছাড়া রাজ্যের সব জেলাতেই বাড়বে গরম ও অস্বস্তি। উপকূলের জেলাগুলিতে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে।পশ্চিমঞ্চালের জেলাগুলিতেও বাড়বে গরম। তবে উত্তর ও দক্ষিণের কিছু জেলাতে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।প্রচন্ড গরমের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের স্কুলগুলিতেও গরমের ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মমতা সরকার। ছুটির সময়সীমা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১৫ জুন পর্যন্ত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধ ও বৃহস্পতিবার কলকাতায় পারদ পৌঁছাতে পারে ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির দাপট কমতে শুরু করবে। আর অন্যদিকে দাপিয়ে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। ফের সূর্যের তাপে পুড়বে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। তাই আপাতত হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল হবে দক্ষিণবঙ্গবাসী। রেহাই নেই উত্তরবঙ্গেরও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *