সদ্য মাত্রই ঘোষিত হয়েছে নির্বাচনের দিনক্ষণ। ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আগামী ২৬ জুন পাহাড়ে নির্বাচন, গণনা ২৯ তারিখ। জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা প্রথম থেকেই করে এসেছেন বিমল গুরং। তাই এই ভোটের দিন ঘোষণা হতেই তিনি আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রায় তিন দিন হয়ে গেল তিনি অনশনে, কিন্তু এখন জানা গিয়েছে বিমল গুরুং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে অনশন থেকে সরে আসেননি পাহাড়ের এই নেতা। শরীর খারাপ নিয়েই নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকছেন তিনি বলে খবর।
জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে গুরুংয়ের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ তারা নেয়নি, পাত্তাই দেয়নি। তাই এই জিটিএ নির্বাচন তারা মানছেন না। এই ইস্যুতে তিনি চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। তাই তিনি অনশনে চলে যান। তবে এখন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার অনশনের মাঝে হঠাৎ পিঠে ব্যথা থেকে শুরু করে মূত্রের সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। দার্জিলিং সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করলে জানা যায় সুগারের সমস্যা রয়েছে বিমলের। তবে সেই নিয়েই তিনি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিমল গুরং আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার রাজনৈতিক সমাধানের কথা বললেও তার কিছুই হয়নি। তাই কেন্দ্রের ওপর আর তাদের ভরসা নেই। তবে রাজ্যকে তারা ভরসা করেন। মমতা সরকারের ওপর তাদের আস্থা আছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মার্চ মাসে পাহাড় সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই জিটিএ নির্বাচন হবে। সেই সময়েও তিনি জানিয়েছিল যে, রোশন গিরির দল ছাড়া জিটিএ নির্বাচন সবাই চাইছে। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। কিন্তু বিমল গুরুংয়ের স্পষ্ট বক্তব্য, গোর্খা জাতির জন্য তাঁর সব চলে গিয়েছে, প্রাণ চলে গেলেও কিছু ব্যাপার নয়। তাই অনশন চলবেই।