রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। উঠছে একের পর এক অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে মানিকের বিপদ বাড়লো আরও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আবারও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধায়৷ ২০১৭ সালে এক টেট পরীক্ষার্থীকে ওএম আর সিট-এর কপি না দেওয়ার জন্য ফের ৫ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার বসেছিলেন সাহিলা পারভীন নামে এক পরীক্ষার্থী। তিনি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি৷ কিন্তু, উত্তর পত্র বা ওএমআর শিটের কপি চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুসারে ওএমআর শিটের কপি পেতে পর্ষদে ৫০০ টাকা জমাও দেন তিনি। কিন্তু, পর্ষদের তরফে জানানো হয়, নির্ধারিত নিয়ম বা আরটিআই বিধি মেনে আবেদন করা হয়নি। তাই তাঁকে ওএমআর শিটের কপি দেওয়া সম্ভব নয়। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে দ্বারস্থ হন পরভীন।
এদিন মামলার শুনানির পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, তদানীন্তন সভাপতি এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। সেই কারণেই মানিক ভট্টাচার্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি-র কাছে ওই টাকা জমা দিতে হবে।