ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ছেলের রহস্যমৃত্যু ।হরিশচন্দ্র পুরের মালিওর গ্রামে ছেলের মৃত্যুর খবর আসতেই শোকস্তব্ধ পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনরা। এদিকে পরিবারের অভিযোগের তীর ঠিকাদারের দিকে। তাদের অভিযোগ , যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতো সেই ঠিকাদারই খুন করেছে তাকে। সুবিচারের জন্য প্রশাসনকে জানায় তারা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। এদিকে রোজগেরে ছেলের মৃত্যুর পর প্রচণ্ড দুর্দশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে পরিবারের । মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য বা স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধিও পাশে এসে দাঁড়ায়নি। একে ছেলে হারানোর শোক তারপর আবার দারিদ্রতা। সরকারি সাহায্যের আশায় বসে আছে অসহায় বাবা মা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের শামুখা গ্রামের যুবক বংশীলাল মন্ডল। হরিয়ানার কাটলা এলাকায় একটি কাঠ চেরাই মিলে কাজ করত সে। কাজের বেতন নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তার ।ঠিকঠাক পারিশ্রমিক না মেলায় বাড়ি চলে আসতে চেয়েছিল সে। কিন্তু গত ৮ ই অক্টোবর সেখানকারই রেললাইনে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে এইভাবে রোজগেরে ছেলের হঠাৎ মৃত্যুর পর প্রচণ্ড দুর্দশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে এই পরিবারের। কিন্তু পাশে এসে দাঁড়ায়নি কোন জনপ্রতিনিধিও। মেলেনি কোনরকম সরকারি সাহায্য বা সাহায্যের আশ্বাস। এই মুহূর্তে সরকার তাদের পাশে না দাঁড়ালে তাদের পক্ষে দিনযাপন করা খুব সমস্যা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অজিত কুমার সাহা এই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনিও প্রশাসনিক উদাসীনতার কথা বলেন। যদিও তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান জানিয়েছেন তিনি এই পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন।
পুত্রশোকে বিহ্বল বংশিলালের বাবা মহাবীর মন্ডল বলেন,”আমার ছেলে যেতে চেয়েছিল না জোর করে কাজে নিয়ে গিয়েছিল স্থানীয় যুবক ছোট্টু মন্ডল। যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত তারাই খুন করেছে ছেলেকে। আমরা সুবিচার চাই। প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। আমাদের আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। ছেলের মৃত্যুর পর সংসার কিভাবে চলবে এই নিয়ে ভেবে কুল পাচ্ছিনা।”