ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে কাশি ছাড়াও আর কি কি সমস্যা হতে পারে?

হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে কাশি? অ্যান্টিবায়োটিক থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেয়েও কাশি কমছে না? এটা কেবল ঠান্ডা লাগার কাশি নাও হতে পারে। এর পিছনে মারাত্মক কারণ থাকতে পারে। ঠান্ডা লেগে কাশি হলে সাধারণত ওষুধ খেলে কয়েকদিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে কমে যায়। কিছু সময় কয়েক সপ্তাহ বা মাস খানেক কাশি চলতে পারে। কিন্তু ওষুধ খেয়ে, গারগিল করে মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কাশি না কমলে চিন্তার বিষয়। চিকিৎসকদের মতে, কাশি হতে পারে অ্যালার্জির কারণে। অনেকেরই অ্যালার্জি রয়েছে ধুলোবালিতে। বায়ুতে দূষণের মাত্রা বেড়ে গেলে বা বেশি ধুলোবালির মধ্যে থাকলে কাশি শুরু হতে পারে।

অ্যালার্জির কাশি হলে সাধারণত এক নাগাড়ে কাশি হয় না। মাঝেমধ্যে গলা খুশখুশ করে কাশি শুরু হয়। কাশির সঙ্গে সেভাবে কফ ওঠে না। কিন্তু, গলায় কিছু আটকাচ্ছে মনে হয়। তখন অ্যালার্জির ওষুধ না খেলে কাশি কমবে না। অ্যালার্জি ছাড়া ভিটামিনের অভাবেও কাশি হতে পারে। বিশিষ্ট স্বাস্থ্যবিদের মতে, শরীরে ভিটামিন-বি১২-এর ঘাটতি হলে কাশি হতে পারে। এক্ষেত্রে কাশি শুরু হলে সহজে থামে না, এক নাগাড়ে হয়ে যায়। ভিটামিন-বি১২-এর ঘাটতির দীর্ঘস্থায়ী কাশি ছাড়াও আরও কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। যেমন, ঘন-ঘন মাথা ব্যথা, বিষণ্ণতা, ফ্যাকাশে চেহারা, পেটের সমস্যা, পেশিতে ক্র্যাম্প ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলি থাকলে অবিলম্বে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।

শরীরে ভিটামিন-বি১২-এর ঘাটতি সাধারণ কয়েকটি খাবারের মাধ্যমে কিছুটা পূরণ করা যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য। শরীরে ভিটামিন-বি১২ -এর ঘাটতি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া প্রতি ৬ মাস অন্তর আপনার ভিটামিনের মাত্রা পরীক্ষা করুন, যাতে বড় সমস্যা এড়াতে পারেন।