বাংলার পর দুর্নীতির অভিযোগ উঠল দেশের আরো এক রাজ্যে। এবার দুর্নীতির অভিযোগ খোঁজ রাজধানীর বুকে। অভিযোগ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। এবার আরও বিপাকে মনীশ সিসোদিয়া, মদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহে তাঁর বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
জানা যাচ্ছে সিসোদিয়াসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে সিবিআই। এই লুকআউট নোটিশ অগ্রাহ্য করে বিদেশ যাত্রা চেষ্টা করলে সিসোদিয়াকে আটক করা হতে পারে বলে, সিবিআই সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মদ কেলেঙ্কারিতে মোট ১৫ জনের নামে এফ আই আর দায়ের করে যে সিবিআই। তবে এই ১৫ জনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত সিসোদিয়াই।
চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই সিসোদিয়ার উপর বিশেষ নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।গত মাসে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা দিল্লির নয়া আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত শুক্রবার সিবিআই মণীশ সিসোদিয়ার বাসভবন-সহ ৩১টি স্থানে অভিযান চালায় সিবিআই।
প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এর পরেই বারোজন আইএএস আধিকারিককে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন উপরাজ্যপাল। পাঁচ অভিযুক্তর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়।
বৈঠক করে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিসোদিয়া। গ্রেপ্তারির আশঙ্কা প্রকাশ করলেও তাতে তিনি ভয় পান না বলেও দাবি করেছেন। সিসোদিয়া এদিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থা তিন থেকে চার দিনের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করতে পারে। তবে আমি তাতে ভয় পাচ্ছি না। আমি ভগৎ সিংয়ের অনুগামী এবং সিবিআই বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ভয় পেতে হবে বলেও মনে করি না। তারা আমার মাথা নত করাতে পারবে না।’
এই প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। এদিন কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে জোরালো আক্রমণ করে সিসোডিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী সব সময় সিবিআই কিংবা ইডির রেড নিয়েই মাথা ঘামান। অন্যদিকে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সর্বদা স্বাস্থ্যবীমা, শিক্ষা কিংবা চাকরির কথা ভাবেন। এটাই আমাদের সঙ্গে ওদের পার্থক্য।’