মায়ানমার সীমান্তে ‘অবাধ যাতায়াত’ বন্ধের ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদি সরকার

সীমান্তে মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে দুই দেশের নাগরিকদের অবাধ বিচরণ সংক্রান্ত চুক্তি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এটি আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির সংকল্প। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মায়ানমারের সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জনসংখ্যার কাঠামো বজায় রাখতে ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম’ (এফআরএম) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু বিদেশ মন্ত্রক বর্তমানে এটি বাতিল করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবিলম্বে এফআরএম স্থগিত করার সুপারিশ করেছে।”

ভারত-মায়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তের উভয় পাশে ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে যারা বসবাস করেন তাদের পার হতে ভিসার প্রয়োজন হয় না। দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ‘ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম’-এর সুবিধা দেওয়া হলেও গত নভেম্বর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শরণার্থীদের আগমন কমেছে। এই পরিস্থিতিতে শাহ কয়েক সপ্তাহ আগে গুয়াহাটিতে আসাম পুলিশের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “মিয়ানমার সীমান্ত বাংলাদেশের সীমান্তের মতো সুরক্ষিত করা হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আসামের সকল বন্ধুদের জানাতে চাই যে নরেন্দ্র মোদির সরকার মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

শাহের ঘোষণার পরপরই মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে (বিআরও) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড় ও বনে ঘেরা দুর্গম সীমান্তে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনাক্রমে, মায়ানমার চারটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য-মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের সাথে সীমান্ত ভাগ করে। শাহের মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন আসাম রাইফেলস এবং বিএসএফ বাহিনী সীমান্তে টহল দেয়।