করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছিল ভারত। তবে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে লকডাউন-নাইট কার্ফু শুরু হওয়ায় সপ্তাহদুয়েক ধরে সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। স্বস্তি দিয়ে টানা দু-দিন কমল দেশের দৈনিক সংক্রমণ। করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমল শনিবার। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গত ৪৫ দিনের নিরিখে সর্বনিম্ন। দেশের স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে দেশের করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯২১ জন। মহামারী মোকাবিলায় রাজ্যে-রাজ্যে লকডাউন -সহ একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তারই জেরে সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে খানিকটা হলেও লাগাম পরানো গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে তবে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও দৈনিক মৃত্যু কিন্তু কমেনি। শনিবারও তা সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬১৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট প্রাণ হারালেন ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৫১২ জন। সংক্রমণ কম এবং সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গত দু’সপ্তাহ ধরে কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমেছে ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি। এখন দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৪ জন। গত একদিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৮ জনের।
মহামারী মোকাবিলায় দ্রুত টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে টিকাকরণের গতি বাডা়তে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সমস্ত দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে, শুক্রবার এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাবড়েকর।