তিন রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রচুর। বহু হাজার হাজার ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে গৃহহীন হয়েছে বহু গ্রামবাসী। তছনছ করে দিয়েছে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলকে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বিধ্বস্ত ওড়িশা, বাংলা ও ঝাড়খণ্ড তিন রাজ্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খতিয়ে দেখার জন্য তিনটি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে। সেই দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আরও আর্থিক সাহায্য করেন। এছাড়া সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওড়িশাকে এখনই ৫০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য করছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরই দুই রাজ্যকে দেওয়া হবে বাকি ৫০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তারপর দুই রাজ্যকে অর্থ সাহায্য করবে কেন্দ্র। ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইয়াসে মৃতদের পরিবারপিছু দু’লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেবে কেন্দ্র। গুরুতর আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।
শুক্রবার ইয়াস-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত আলোচনার জন্য ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে আসেন মোদী। প্রথমে ভুবনেশ্বরে নেমে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে আকাশপথে ওড়িশা এবং বাংলার ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকার একাংশ পরিদর্শন করেন মোদী। তারপর চলে আসেন কলাইকুন্ডা বায়ুঘাঁটিতে। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে ১৫ মিনিটের বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারের জন্য ওড়িশায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৩০ কিলোমিটার কম গতিতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার ফলে তাণ্ডব চললেও ওড়িশায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। দু’জনের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামও জলবন্দি হয়ে গিয়েছে।