পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার চর্চায় রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গত পরশুই তিনি রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে প্রেসক্রিপশনে সাত দিন ‘বেড রেস্ট’-এর কথা লিখে দিয়েছিলেন।
তাঁর লেখা সেই প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতেই সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি। তারপর কেটেছে মাত্র দুদিন।
ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার সকালেই নাটকীয়ভাবে তাকে তাঁর বাসভবন থেকেই আটক করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আপাতত তাঁকে কনভয়ে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে হঠাৎ ৭ দিনের ছুটির আবেদন জমা দিলেন অনুব্রতকে বেড রেস্ট দেওয়া সেই চিকিৎসক ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালেই ওই চিকিৎসক নিজের শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে আগামী ৭ দিনের ছুটির আবেদন জমা দিয়েছেন।
তবে হঠাৎ করে কি হল ওই চিকিৎসকের তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। ওই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী জানিয়েছেন, ‘আমার মানসিক অবস্থা ভালো নয়। তাই এক সপ্তাহ ছুটির ব্যবস্থা করলাম। আমি বাড়িতেই থাকব। তবে আমার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, আমার রেস্টের প্রয়োজন। আমাকে সাবধানে থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করা প্রসঙ্গে এর আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছিলেন ওই চিকিৎসক। যার বক্তব্যে রীতিমতো ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। বুধবার সকালেই তিনি বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপারের নির্দেশেই তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যান তাঁর চিকিৎসা করতে। ওই চিকিৎসকের আরও অভিযোগ ছিল, তাঁকে রীতিমতো জোর করে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।
ওই চিকিৎসকের বয়ানের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার থেকেই নাকি ছুটিতে রয়েছেন ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার। সেক্ষেত্রে তিনি চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে কিভাবে অনুব্রত মন্ডলের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মাথাচাড়া দিয়েছে বিস্তর প্রশ্নও।
কিন্তু এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে আটক হলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তার কিছুক্ষণ পরেই সুপারের মতো এবার ওই চিকিৎসক নিজেও ছুটির আবেদন জমা দিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেই অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়লেন কিনা? নাকি তাঁর ওপরেও রয়েছে বাড়তি চাপ?