বুধবার সন্ধ্যাতেই পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে ইয়াস। বাংলা-ওড়িশা উপকূলে তীব্র আকার নিয়ে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
প্রশাসন চূড়ান্ত সর্তকতা দিয়েছেন কলকাতায়, ফলে শহরবাসীদের মধ্যে উদ্বিগ্ন ক্রমশ বেড়েই চলছে। কারণ কিছু সময় আগেই আমফানের কবলে তছনছ হয়েছিল কলকাতা। সেই ভয়ানক স্মৃতি শহরবাসী এখনো ভুলতে পারিনি এর মধ্যে আরেক বিপর্যয় চলে এসেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে ২৬ মে দুপুর থেকে ইয়াস এর প্রভাব দেখতে শুরু করবেন শহরবাসী, ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ৯০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড়ের ডানদিকে থাকতে পারে তিলোত্তমা। ফলে প্রভাব ভালোই পড়বে শহরে, তাই আগাম সর্তকতা প্রশাসন দিয়েছে। পুরসভা চিন্তিত শহরের কিছু পুরনো বাড়ি গুলি কে নিয়ে অর্থাৎ ১৭০০ টি বাড়ি অতি পুরনো এর মধ্যে ১০০টি বাড়ি বিপজ্জনক। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি ও পূর্ব দফতর বৈঠক করেছে, উপস্থিত ছিল কলকাতা পুলিশও।পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ টি দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের পর বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ২৫০ কর্মীকে প্রস্তুত রাখছে সিইএসসি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলা করার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে কলকাতার বিমানবন্দরও। ইয়াস মোকাবিলায় কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়।কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা ছাড়াও কলকাতা পুরসভা, এনডিআরএফ, বিএসএনএল, সিইএসসি-র আধিকারিকরা রয়েছেন এই দলে।