তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফেরার পর থেকে রাজ্যের শাসক শিবিরের নজর এখন ত্রিপুরা। যেখানে সংগঠনের কাজ অনেক দিন ধরেই শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সেই রাজ্যে আর কয়েক দিন পরেই পুরভোট তাই পুরোদমে ব্যস্ত বাংলার শাসক শিবির। এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিতে চলেছে তারা। সেই প্রেক্ষিতে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে বাংলার ৯ জন নেতাকে ত্রিপুরা পাঠাল তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ৫ জন বিধায়ক দায়িত্ব পেয়েছেন ত্রিপুরার। এ দিন সকালেই বিধায়করা পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যে এবং ভোট সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সেখানেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব। এও জানা গিয়েছে যে খুব তাড়াতাড়ি ত্রিপুরায় প্রচারে যেতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
যে বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, চাঁপদানি পৌরসভার পৌর প্রশাসক অরিন্দম গুই। এছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলাতেও পুরভোট হচ্ছে এবং সেখানে এক বিধায়ক সহ ২ জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলার শাসক শিবির।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার ত্রিপুরা সফরে এগিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের প্রতিনিধিরা। সেখানে একদিকে যেমন তাদের ওপর হামলা হয়েছে অন্যদিকে হয়েছে পুলিশের মামলা। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তারা পিছু হটবে না এবং পুরভোটে লড়াই করবে। সেই প্রেক্ষিতেই পুরোদমে ময়দানে নেমে গিয়েছে মমতা বাহিনী।