গেরুয়া শিবির ছেড়ে ফের তৃণমূলে মুকুল রায়। এবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মুকুল রায়। শুক্রবারই সপুত্র ফের পুরনো দলে ফিরেছেন তিনি। একদা তৃণমূলের সেকেন্ডে ইন কম্যান্ড বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে নিরাপত্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার রাতেই তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। শুধু তাঁকে নয় তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও সেই নিরাপত্তা পাচ্ছেন। যদিও তখনো তাঁর দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী রাতে তাঁর বাড়িতেই ছিল৷ খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করবেন তিনি। শনিবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখে নিরাপত্তা ছাড়তে চলেছেন মুকুল।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতার সামনেই জোড়াফুলে প্রত্যাবর্তন হয় মুকুলের। বাবার সঙ্গে পুরনো দলে ফেরেন শুভ্রাংশুও। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়েছিল তাঁকে। ফলে কেন্দ্রীয় পদ পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও পেতেন তিনি। প্রথম দিকে তাঁকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হলেও বিধান সভা নির্বাচনের আগে সেই নিরাপত্তা জেড প্লাস করে দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল বিজেপির সঙ্গে তিন বছর ৯ মাসের সম্পর্ক ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চেয়েও চিঠি দেন মুকুল বাবু।
তবে সাড়ে তিন বছর পর ঘরে ফেরা। পুরনো দলে, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে ফের রাজনৈতিক ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি। শুক্রবারই বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় সপুত্র ফিরলেন তৃণমূলে। তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে যোগদানের পর তিনি বললেন, ”বিজেপি থেকে বেরিয়ে খুব ভাল লাগছে। নতুন আঙিনায় এসেছি, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। আর এটা ভেবে ভাল লাগছে, বাংলা আবার তার নিজের জায়গায় ফিরবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা।” ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।