শুধুমাত্র একটি পরিবারের স্বার্থে ১৯৭৫-৭৭ পর্যন্ত কংগ্রেস ভারতে ইমার্জেন্সি লাগু করেছিল l শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুও নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অনৈতিক ভাবে নানা ভাবে রাজ্য গুলির উপর বিভিন্ন ধারা জারি করে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে l আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে মজদুর মনিটরিং সেল আয়োজিত আশা, অঙ্গনওয়ারি দিদি ও সহায়িকাদের সাথে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ শীর্ষক কনভেনশনে এই কথা বলেন, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব l এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড় মাত্রায় মহিলারা উপস্থিত হয় l এদিন বিকেলে রাজধানীর সুকান্ত একাডেমি অডিটরিয়ামে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে, এই বিষয়ে মত বিনিময় করেন তিনি l দুটি অনুষ্ঠানেই এক দেশ, এক নির্বাচন প্রসঙ্গে আরও জন জাগরণ তৈরীর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনিl
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, শুধু কংগ্রেসই নয়, কমিউনিস্টদেরও একই উদ্দেশ্যে l পি ভি নরশিমা রাও এর সংখ্যালঘু সরকারকে সমর্থন না করার কথা বলে, জ্যোতি বসু তৎকালীন ৩ রাজ্যে সরকার পতন করিয়ে ছিলেন l কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস এক সাথে নির্বাচনের বিরোধী l কারণ তারা মানুষকে নানা ভাবে ভ্রান্ত দিকে ব্যস্ত রেখে মূল লক্ষ্য থেকে বিভ্রান্ত করে রাখে l ১৯৭৫ থেকে প্রায় আড়াই বছর, যারা প্রতিবাদ বা বিরোধ করেছে, সকলকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো l সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে তারাই এক সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়া গুলিকে বিলম্বিত করিয়ে, আলাদা সময়ে করিয়েছে l এতে কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস লাভবান হলেও, গোটা দেশের মানুষের সব দিকেই লোকসান l তিনি বলেন, কংগ্রেসের রাজনৈতিক লোভ আর পাপের ফল ভুগতে হচ্ছে সমগ্র দেশবাসীকে। কংগ্রেসই দেশের ভোট নীতির পরিবর্তন করে আলাদা আলাদা সময়ে করেছে l দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নির্বাচন এক সাথেই হতো। একসাথে নির্বাচন হলে, একদিকে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি রাষ্ট্র আর্থিক ভাবেও লাভন্নিত হবে।
কিছু সময় পরপর নির্বাচন হলে, নির্বাচনী আচরণবিধি সহ নানা কারনে ৫ বছর মেয়াদের সরকার, অন্তত ২ বছর মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য কম সময় পায় l এতে রাষ্ট্রের ও নাগরিগদের উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্থ হয় l তার পাশাপাশি একটি নির্বাচন করাতে, সরকারি অর্থ ও পারিপার্শ্বিক, সব মিলিয়ে দেশের একটা বড় অর্থ খরচ হয় l কিন্ত নির্বাচন একসাথে হলে, সরকার গুলি যেমন জন কল্যানে অধিক সময় পাবে, তেমনি অতিরিক্ত অর্থ অন্তিম ব্যক্তিদের কল্যানে ব্যয়িত হলে, সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ সুফল পাবে l মোদী আছেন বলেই এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে l তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস শুধুমাত্র একটি পরিবারের স্বার্থে ভারতে লাগু করা ইমার্জেন্সি ও পরবর্তী রাজনৈতিক স্বার্থে গৃহীত একাধিক পদক্ষেপের ফলেই, পৃথক পৃথক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে l দুটি কর্মসূচিতেই কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি l