এল নিনোর প্রভাবে বর্ষার নিল বিদায়

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন ১৯০১ সালের পর ২০২৩ সালের আগস্ট মাস এই প্রথম শুষ্কতম বর্ষার মাসের তকমা পেল ১২২ বছরের মধ্যে। এর পেছনে ভয়াবহ প্রভাব রয়েছে এল নিনোর। IMD-র তরফে জানানো হয়েছে এল নিনোর জেরে বর্ষা এখন কার্যত দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। সেপ্টেম্বরেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মৌসম ভবনের এক সিনিয়র গবেষক জানাচ্ছেন ৮% বৃষ্টিপাতের ঘাটতি নিয়েই দেশ থেকে এবারের মতো বিদায় নিল বর্ষা।

IMD গবেষক বলেন, ‘আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর ভারত এবং হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে সামান্যতম বর্ষার প্রভাব বজায় থাকলেও বাকি রাজ্যগুলি থেকে বর্ষা বিদায়ের পথে। তবে গত চার বছর দেশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে দেরি করেছে। ফলে সেপ্টেম্বর মাসেও স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। এই বছর ১৭ সেপ্টেম্বরের আগে শুধু বর্ষা বিদায় নেবে তাই নয়, গোটা সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক এবং আর্দ্র পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

তবে IMD জানাচ্ছে বৃষ্টিপাত আপাতত বজায় থাকবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে, উত্তর পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ উপকূল অঞ্চলে। আগামী পাঁচদিন বৃষ্টিপাত চলবে দেশের এই অংশগুলিতে। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরী এবং করাইকালে শুক্রবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হবে।

 আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠেছে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পয়েছে গত কয়েকদিনে। আগামী চার থেকে পাঁচদিন আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। জানা গিয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পাঁচ জেলা হল দার্জিলিং,কালিম্পং,জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *