পুজোর মুখে বোনাসের দাবিতে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বেঠকে সমাধান সুত্র না মেলায় আজ সোমবার ১২ ঘন্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত চা বাগান মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয় শ্রমিক ভবনে। এদিকে শ্রমিক ভবনের সামনে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল চা বাগানের শ্রমিকরা। কিন্তু মালিক পক্ষ ১৩ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থাকে। অন্যদিকে শ্রমিকরাও ২০ শাতাংশের বোনাসের দাবিতে অনড়।
মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক এদিন কার্যত নিস্ফলে পরিণত হয়। এরপরই আজ সোমবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। সকাল ৬ টা থেকো সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এদিকে এদিন সকাল থেকেই পাহাড়ে এই বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কোনো দোকান পাট এখনও পর্যন্ত খোলে নি। পাহাড় থেকে সমতল কিংবা সমতল থেকে পাহাড়ে কোনো গাড়ি যাতায়াত করছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিক সর্বত্র একই চিত্র। পাহাড়ে প্রায় সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলো শ্রমিকদের বোনাসের দাবিকে ন্যায্য দাবি বলে জানিয়ে এই বনধকে সমর্থন করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বনধ শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হচ্ছে পাহাড়ে। তবে জরুরিকালিক সমস্ত পরিসেবা এই বনধের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও র ্যাভ। বনধ সমর্থনকারীরাও রাস্তায় নেমে সবদিক পর্যবেক্ষক করছে।