ডায়াবেটিস, প্রেশারের মতো এখন ঘরে ঘরে কোলেস্টেরলের রোগীও। কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু আপনি যদি ভেবে বসেন থাকেন যে, শুধুমাত্র শীতকালে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, এই ধারণা ভুল। কোলেস্টেরলের মাত্রা গরমেও বাড়তে পারে। আর কোলেস্টেরলকে নিমন্ত্রনে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ডায়েট। ফ্যাট ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চললেই কোলেস্টেরলের হাত থেকে কিছুটা রেহাই মেলে। কিন্তু কোলেস্টেরলকে হাতের মুঠোয় রাখতে গেলে ৬টি খাবার রোজ খেতে হবে।
ওটস: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে ওটসের মধ্যে। ওটস গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে পিত্ত অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের প্রতিরোধে সক্ষম ওটস।
ফ্ল্যাক্স সিড: ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল রোজ সকালে খান। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ফাইবার ছাড়াও লিগনান রয়েছে। এটি হল কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে ইস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
বাদাম: আখরোট, আমন্ড, কাজু, চিনেবাদামের মতো বাদাম কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য উপযোগী। এরে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। রোজ বাদাম খেলে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমতে পারে।
অলিভ অয়েল: কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে রান্নায় তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। পাশাপাশি উচ্চ ফ্যাট যুক্ত তেল ব্যবহার করা চলবে না। অলিভ অয়েল রান্নার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডাল: কোলেস্টেরল বাড়লে ডায়েট থেকে ডালকে বাদ দেওয়ার দরকার নেই। ডাল প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। ডাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মুগ, মুসুর থেকে শুরু করে রাজমা, কাবুলি চানা সবই খেতে পারেন।
মাছ: কোলেস্টেরল বাড়লে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে মাছ-মাংস খাবেন কি না। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই মাছ রোজের ডায়েট রাখুন।