ভারত এখন রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে রয়েছে তাই  প্রয়োজন গ্রামীণ উন্নয়নের বিশেষ গুরুত্ব

 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আমার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ গ্রামীণ উন্নয়ন না হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। নির্দেশর নির্দেশিত সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সব বিশ্বাস, সব প্রয়াস দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে রাজ্য সরকার। গ্রেট এডি নগরের পঞ্চায়েতিরাজ ট্রেনিং ইন্সটিউটে রিপোর্টে পঞ্চায়েত দপ্তরের পার্টি ‘পিপলস প্ল্যান ক্যাপাইন ২০২৪’ এর রাজ্যস্তরের কর্মশালার মুখ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। প্রতি বছর এধরনের কর্মশালার অনুশীলন করা হয়। এ বছরও ২ অক্টোবর জন্ম মহাত্মা গান্ধীর দিনে এই বিশেষ ক্যানের সুচনা করা হয়েছিল। এটা মার্চ ২০২৫ মাস পর্যন্ত চলবে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নমূলক গঠন করা। তৃতীয় জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে গ্রামস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পঞ্চায়েত কাজ জোরদার করাকে অগ্রভাগ দেওয়া হয়েছে। নো পোভারটি, জিরো হাঙ্গার, গুড হেলথ, জেন্ডার ইকুইলিটি, ক্লিয়ার ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন, এফোর্ডেবল এন্ড গ্রীন এনার্জি ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরনের লক্ষ্যে কাজ করছে। রাষ্ট্রের মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্ন ছিল গ্রামীণ উন্নয়ন হোলে দেশের উন্নয়ন হবে। তাই কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদি সেই দিশায় কাজ করছেন। উল্লেখ্যে উদয় হলে ভারত উদয় হবে। ভারত এখন রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে রয়েছে। তাই উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। ডাঃ সাহা বলেন, জেলায় এখন ই অফিস হয়েছে। যেখানে ক্যাবিনেট থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত ই অফিস হয়েছে । যেখানে মানুষ হাততালি দিয়ে আমাদের সম্মানিত করেছেন। যা গর্বের বিষয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদেরও আলোচনার পরামর্শ দেন যা কাজ করার জন্য সহায়ক। বিগত বছর পঞ্চায়েত স্তরে বেশ ভাল কাজ হয়েছে। আগামীতে এর চাইতেও ভালো করতে হবে। কর্মায়শা মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কাজ করার সময় ও স্বচ্ছতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত স্তরে। এখানেও ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে আমাদের সরকার গঠিত হয়েছে। স্বচ্ছতা না থাকলে শুধু পেশীর জোর অর্থবল দিয়ে বেশিদিন থাকা যায় না। স্বচ্ছতা থাকলে তার সাথে ভালো ব্যবহার থাকলে বারবার ত্রিস্তর এবং প্রতিপালনে আমাদের জয় ও মানুষ বিশ্বাস করবে। আর এই কাজটা আমাদের অবশ্যই করতে হবে। পরবর্তীদিনে উন্নয়নের জন্য আলোচনার জন্য এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত সমর্থন সম্ভব হবে।