শিলিগুড়ি বাগরাকোটে সংশোধনাগারের দিক থেকে আসা এক রিকশা ও তার সঙ্গী লালু বন্ধুত্বের এক অনন্য নজির গড়লো। ঘড়ির কাটায় তখন সকাল সাতটা। সংশোধনাগারের মোড়ে দাঁড়িয়ে লালু। বাদল দাস নামক এক রিকশাচালক সেখানে এসে দাঁড়াতেই লালু তাতে সওয়ার হয়ে গেল। রিক্সা এগিয়ে চলে হাতি মোড়ের দিকে, সঙ্গে সকালের মিষ্টি রোদ কখন তাদের বন্ধুত্বে দারুন প্রশান্তি। বাদল বাবু রিক্সা দাঁড় করাতে লালু নেমে যায় সেই জায়গায়। এরপরই বাদল বাবু সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে তার কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে যায়। দিনভর প্রচণ্ড খাটনি, ঠিক সময় মত আবার ফেরার সময় তার সঙ্গী লালুকে নিয়ে আবার সংশোধনাগারের কাছে নামিয়ে দেন। এই বাগড়াকোট এলাকায় বাদল বাবুর বাড়ি, তাই কাজে বা অকাজে বাগরাকোট মোর দিয়ে যাতায়াত।
তবে কিভাবে এই লালু-বাদলের বন্ধুত্বের সমীকরণ? জানা যায় বাগড়াকোট মোড়ের কুকুরদের রোজ এক প্যাকেট বিস্কুট খাওয়ানো বাদল বাবুর বহুদিনের অভ্যাস, এই সূত্রে লালুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। তারপর একদিন হঠাৎই লালু তার রিক্সায় উঠে বসে, বাদল বাবু এই ভালোবাসার খাতিরে তাকে এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে নিয়ে হাতি মোড়ের কাছে চায়ের দোকানের সামনে ছেড়ে দিয়েছিলেন কাজে যাওয়ার সময়। বেলা তিনটার সময় লালুকে সেখানে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কাছে গিয়ে দাড়াতেই লালু তার রিকশায় উঠে গিয়ে বসে বাদল তাকে আবার বাগরাকোট মোড়ে নামিয়ে দেন। তারপর থেকেই এই বন্ধুত্বের অটুট সম্পর্ক।