অবাক ঘটনা। খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এফআইআর। ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। আর তাঁদের ছাড়াতে ত্রিপুরা গিয়ে রীতিমতো ধর্না দিয়ে ধৃত দলীয় নেতা-কর্মীদের জামিনে ছাড়িয়ে এনেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ এবং দোলা সেন। এবার এই চারজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করল ত্রিপুরার খোয়াই থানার পুলিশ। পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হলো। বুধবার ট্যুইট করে এই অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি-সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দোলা সেনের নাম আছে ত্রিপুরা পুলিশের সেই মামলায়।
পুলিশের কাজে ‘বাধা’ দেওয়া, ‘অভব্য আচরণের’ অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে খোয়াই থানার পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ সূত্রে খবর, মামলাটি করেছেন খোয়াই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোরঞ্জন দেববর্মা। এই এফআইআরে অভিযুক্ত করা হয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশ দাসকে। অভিযোগ, রবিবার থানায় বসে পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এমনকী দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহাদের আদালতে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা বলেও অভিযোগ। এই ছয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন তাঁরা। গ্রেফতার করা হয় তিন যুব নেতা–সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা–কর্মীকে। তখন রাতারাতি ত্রিপুরা উড়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সহকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে খোয়াই থানাতে ঠায় বসেছিলেন তিনি। শেষে ত্রিপুরা আদালতে জামিন পেয়েছেন ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।