খেজুর গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে রসের অপেক্ষায় রস সংগ্রহকারী চাষীরা

খেজুর গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে রসের অপেক্ষায় রস সংগ্রহকারী চাষীরা। মৌসুমী ঝঞ্ঝা থাকার কারণে পড়ছে না জাকিয়ে শীত, তারই প্রতিফলন এবার খেজুরের রসে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এখনও রসের যোগান অনেকটাই কম, তার কারণে খেজুরের গুড়ের চাহিদা থাকলেও রসের যোগানের অভাবে গুড় তৈরি করতে পারছে না চাষীরা। নদীয়ার শান্তিপুর, রানাঘাট,কৃষ্ণনগর,চাপড়া সহ বিভিন্ন গ্রামগুলিতে খেজুর গাছের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। শীতের মরশুম পড়তেই অন্যান্য চাষের মধ্য দিয়ে খেজুরের গুড়ের ব্যবসায় অনেকটাই লাভবান হন চাষীরা, আর এই শীতকালের অপেক্ষায় থাকে বেশি অংশ চাষী। চাষীরা জানাচ্ছেন অন্যান্য বছর এই সময় জাকিয়ে শীত পড়তো, আর খেজুরের রসের যোগানো হতো পরিমাণ মতো। সেই রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে হাড়িতে করে তারা বিভিন্ন বাজার গুলিতে বিক্রি করতেন। এবছর এখনও সেইভাবে শীত না পড়ার কারণে খেজুর গাছ গুলি থেকে রসের যোগান অনেকটাই কম হচ্ছে বলে দাবি চাষীদের। তবে সামনেই পৌষ পার্বণ, খেজুরের গুড় দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠেপুলি তৈরি করে আপামর বাঙালি। এ বছর তাহলে কি খেজুরের গুড়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকবে বাঙালি? তা হয়তো নয়। বেশি দাম দিয়ে হলেও অনেকেই কিনবেন খেজুরের গুড়। তবে এবছর খেজুরের গুড়ের দাম আকাশছোঁয়া না থাকলেও বাঙালির হাতের নাগালের বাইরে। রসের যোগান কম থাকায় গুড়ের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি কেজিতে। চাষীরা চাইছেন আরো বেশি করে শীত পড়ুক না হলে রস সংগ্রহ যেমন কম হবে তেমনি গুড়ের যোগানো কম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *