গতকাল বর্ধমানের বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে মঙ্গলবার সাত সকালে বর্ধমান শহরে টাউন হলে প্রাতভ্রমণ ও চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, জামিন তো যে কেউ পেতেই পারে, এর আগেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রাও জামিন পেয়েছেন। দেশের মানুষ সবাই দেখেছে কি কি সম্পত্তি বেরিয়েছে। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা একটু লম্বা হয়, তথ্য-প্রমাণ দেখে কি সাজা হয় সেইটা দেখার জন্য আমরা একটু অপেক্ষা করব, বলে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া পাওয়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় জানালেন তিনি।
এখানেই তিনি থেমে থাকলেন না, মুখ্যমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, এবার পার্টি সার্টি হবে, বীরভূম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ইনকাম কমে গেছে এখন, আবার মালকড়ি আসা শুরু হবে, চেন ঠিক আছে কিনা, কাজল শেখ কি সব খেয়ে নিল, নাকি কিছু ছেড়েছে তাই দেখতে আছেন দিদি। এতদিন পরে কেষ্ট মন্ডল ছাড়া পেয়েছে বলে কথা, সেই সব কথাবার্তাই হবে আজকে সাক্ষাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের। অনুব্রত মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, আজ বিরাট বড় মিলন উৎসব হবে। এতদিন পর ছাড়া পেয়েছে নেতা বলে কথা। তৃণমূলের কাছে এরাই গর্বের, এরা সবাই দলের বাঘ সিংহ হাতি। তৃণমূলের কাছে এদের গুরুত্ব আছে, কারণ এদের সম্পত্তি আছে। যাদের সম্পত্তি নেই তাদের গুরুত্ব নেই তৃণমূলে বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ম্যান মেড বন্যা, কিন্তু উনি বলতে পারেন ১৩ বছরে উনি কি করেছেন। বৃষ্টি কমে গেছে ওনার কপাল ভালো। চাষ করার কোন দরকার নেই, কেন্দ্র তো চাল দিচ্ছে, সবাইকে বেঁচে আছে। আমরা উত্তরবঙ্গ মালদায় বন্যায় ওনাকে যেতে দেখেছি, উনি গিয়ে কি করেন, গোড়ালি জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলে আসেন, উনার দায়িত্ব শেষ। এবার ত্রাণ কেন্দ্রীয় সরকার দেবে, অনেক এনজিও দেবে, আর উনি ত্রাণের টাকার জন্যে শুধু ডিমান্ড কড়ে যাবেন। এই যে ঘাটালে বন্যা হয়, ওনার কোলের ভাই দেবকে উনি কথা দিয়েছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে, তার কি হলো। উনি ভেবেছিলেন এবার সময় বেরিয়ে গেছে বন্যা হবে না। কিন্তু ওদের দুর্ভাগ্য এবারও বন্যা হল। আর ওনার পচা ডায়লগ শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমরা ত্রাণ দিতে যাই আর প্রত্যেক বছর গরিব মানুষদের পুজো মাটি হয়। উনি টাকা লোটার জন্য বন্যা দেখতে যান। কারণ ওনার ভোটিং ফান্ড দরকার। যেখানে যাবেন সেখানে গিয়ে বড় বড় ডায়লগ দেবেন। কারণ উনি জানেন এক দুই সপ্তাহ চলবে বন্যা, তারপর ছুটি এক বছরের। একটা কিছু তো এবার আপনি করুন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন দিলীপ।