পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জোরদার প্রস্তুতি সিপিআইএমের। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিপিআইএম। বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম। তিনি বলেন, বিজেপির এবং তৃণমূল ভোটের জন্য জাতের নামে, ধর্মের নামে উস্কানি দিয়ে চলেছে। বামফ্রন্ট মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করছে। মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তখন তৃণমূল বিজেপি ভয় পাচ্ছে। যখন ঐক্য ভাঙতে পারছে না তখন কেনাবেচার রাজনীতি করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নব জোয়ারের ডাক দিয়েছে কিন্তু শুকনো গাঙে আর বান ডাকছেনা। ভাটার টান শুরু হয়েছে। তাই শেষের দিকে যখন মার খাচ্ছে তৃণমূলের অফিস বন্ধ হচ্ছে তখন একজন বিধায়ক কে দেখিয়ে বলছে সব চলে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুষ্ঠু নির্বাচন এর কথা বলছেন সব বাজে কথা। নতুন করে প্রার্থী বাড়ছে তা নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যখন দেখছে পারছে না তখন তারা যেটা করতে পারে কেনাবেচা সেটাই করছে। তার বাড়তি আর কিছু করতে পারেনি। যারা দলবদলের কারবার করে সাবধান। এখন মানুষ ছবিতে জুতোর মালা পড়াচ্ছে। পরবর্তীতে মানুষ জুতোপেটা করবে। কৃষকরা যখন নতুন ফসল উৎপাদন করে তেমন রাজনীতিতে প্রত্যেক বছর আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন ছেলে মেয়েরা উঠে আসে। ১২ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস একটা নতুন নেতা তৈরি করতে পারলো না? সাগরদিঘী তে তৃণমূল যাকে প্রার্থী করেছিল সে ছিল বিজেপির। বিজিবিতে প্রার্থনা করেছিল সে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশের বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। এগুলোকে বলে রিসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি (কাবারীর দোকান)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তাবু খাটিয়ে সার্কাস করে কোন লাভ হলো না। এর থেকে সেই তাবুতে যামিনী সার্কাস বা জাম্বু সার্কাস হলে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু টিকিট বিক্রি হতো। তিনি আরো বলেন সিপিআইএম থেকে যারা নড়ে গিয়েছে বা সরে গিয়েছে তারা আবার ফিরে আসছে।