পশ্চিম জেলার বিভিন্ন ব্লকে কেন্দ্রীয় সরকারের যে সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্প’র কাজ চলছে তা ঘুরে দেখলেন রাজ্যে সফররত কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে তারা পশ্চিম জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। পশ্চিম জেলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজকর্ম দেখে তারা সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আন্ডার সেক্রেটারি ও সেকশন অফিসারদের জন্য ১৪২তম লেভেল-ডি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। ২৬মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত আয়োজিত এই লেভেল ডি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য ২২জন আধিকারিক দিল্লী থেকে এসেছেন। এই সব আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় স্পনসরড স্কিম এবং রাজ্য সরকারের স্কিম গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই প্রকল্প গুলো কতটুকু কার্যকর হয়েছে, সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পের জন্য কতটুকু সুবিধা পাচ্ছেন আগামী দিনে এই প্রকল্পগুলি থেকে সাধারণ মানুষ আরো কি কি সুবিধা পেতে চান এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়।
রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি যেভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাদেরকে সন্তুষ্টির ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার এই ২২ জন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির মধ্যে চারজন আধিকারিক পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডা বিশাল কুমারের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। জেলা শাসকের অফিসে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র সরকারের এম এস এম ই মন্ত্রকের সেকশন অফিসার মুকেশ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মডেল ভিলেজ,জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের সেকশন অফিসার সঞ্জয় কুমার মিশ্রা। তিনি এম জি এন রেগা প্রকল্প এবং পঞ্চায়েত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন। ভারত সরকারের রেল মন্ত্রকের সেকশন অফিসার নিতেশ কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি স্বচ্ছ ভারত মিশন এবং জন্য আরোগ্য যোজনার অগ্রগতি ও আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। রেলমন্ত্রকের অধিকারী দেবেন্দ্র কুমার মীনা, তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং স্বাবলম্বন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
পাশাপাশি তারা পশ্চিম জেলার অন্তর্গত চারটি ব্লক পরিদর্শন করেন। এই ব্লক গুলি হলো জিরানিয়া, হেজামারা, পুরাতন আগরতলা এবং মোহনপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলো কি পর্যায়ে রয়েছে কি কি কাজ চলছে তা ঘুরে দেখেন স্থানীয় ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সবশেষে এই বিষয়গুলো নিয়ে পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডক্টর বিশাল কুমারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং কাজকর্মের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি ব্যক্ত করা।