এগিয়ে চলো সংঘের সহযোগিতায় আয়োজিত রক্তদান উৎসব  কর্মসূচি

স্বেচ্ছা রক্তদান এখন রাজ্যে সামাজিক আন্দোলনের রূপ পাচ্ছে। রক্তের কোনও বিকল্প হয় না। রক্তের কোনও ধর্ম নেই। আমরা বিভিন্ন দানের কথা শুনেছি, তবে রক্তদান সমস্ত দানের উর্ধ্বে। তাই রক্তদান মহৎ দান। রবিবার আগরতলায় এগিয়ে চলো সংঘের প্রাঙ্গণে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং এগিয়ে চলো সংঘের সহযোগিতায় আয়োজিত রক্তদান উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, জনসংখ্যার অনুপাতে ১ শতাংশ রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত থাকা প্রয়োজন। ত্রিপুরায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের জন্য ৪০ হাজার ইউনিট রক্ত মজুত থাকা দরকার। রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা পর্যন্ত রক্ত সংরক্ষণ করে রাখা যায়। রক্ত সঞ্চালন পর্ষদ এদিকে সতর্ক নজর রাখছে।  রাজ্যে বর্তমানে রক্তের সেপারেশন সেন্টার রয়েছে।

সামাজিক দায়বদ্ধতার নজির রেখে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রক্তদানের মতো সামাজিক কর্মসূচিতে এগিয়ে এসেছে। রক্তদান শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদাতাদের সাথে কথা বলে তাদের উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত ব্যানার্জি। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমিত সাহা।অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রতন সাহা, এগিয়ে চলো সংঘের সভাপতি চঞ্চল নন্দী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।