রাতের আঁধারে গরু পাচারের চেষ্টা, ধৃত ৪      

রাতের আঁধারে মুর্শিদাবাদ সীমান্ত থেকে পাচারের সময় বিপুল ফেনসিডিল-সহ একজন ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে। পাচার থামাতে বড়সড় অভিযান বিএসেএফের। আর এতেই বানচাল পাচারের নতুন ছক। বিএসএফ জওয়ানদের পোশাক পরে রাতের অন্ধকারে সীমান্তে গরু পাচারের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদাসতর্ক পাহাড়ায় মালদহের হবিবপুর সীমান্ত থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় গরু-মহিষ। বিএসএফ জানিয়েছে ধৃতরা সকলেই ভারতীয়। তারা বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে তার আগেই ধরা পড়েছে। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ সীমান্তেও অভিযান চালায় বিএসএফ। সেখান থেকে প্রচুর ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। একে বড় সাফল্য বলে মনে করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।          

দক্ষিণবঙ্গ সূত্রে খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের ৮৮তম ব্যাটেলিয়নের বিওপি পান্নাপুরে বিএসএফের ছদ্মবেশ ধারণ করে গরু নিয়ে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিল ৩ ভারতীয়। জওয়ানদের সজাগ দৃষ্টি ও সক্রিয়তায় তারা গ্রেপ্তার হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২টি তরবারি, ১টি ছুরি এবং একটি নকল প্লাস্টিক বন্দুক। ২টি মহিষকেও উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদে ১৪৬ তম ব্যাটেলিয়নের অধীনে বর্ডার আউটপোস্ট কাশমহালে প্রথম শিফটে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের চোখে পড়ে, অন্ধকার এবং ঘন ঝোপের আড়ালে ৫-৬ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভারত থেকে বাংলাদেশে কিছু একটা পাচারের চেষ্টা করছে। তা দেখে দ্রুত সতর্কতা অবলম্বন করেন জওয়ানরা।

এরপর অ্যামবুশ টিম এবং টহলদারি ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। বিএসএফ জওয়ানরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের ধাওয়া করলে চোরাকারবারিরা আতঙ্কিত হয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু এরপরেও জওয়ানরা তাদের একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে মোট ৮৯৭ বোতল ফেনসিডিল ভর্তি পাঁচটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়, জেরা করা হয় তাদের। জেরার সময়ে ধৃত চোরাকারবারিরা অবৈধ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র জানান, চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ নির্মূল করতে বিএসএফ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জওয়ানরা সর্বদা সতর্ক এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বা চোরাচালানের যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে প্রস্তুত।”