মাউন্টেনিয়ারিংয়ের দুনিয়ায় নজর গড়লেন শ্যামবাজারের অরিজিৎ দে। প্রথমে বেস ক্যাম্প এবং তারপর ক্যাম্প ওয়ান, ক্যাম্প টু এবং ক্যাম্প থ্রি পার করে যখন এগিয়েছিলেন মানাসলু শৃঙ্গের দিকে, তখন তাঁর ব্যাকপ্যাকে কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল না। টেন্ট ছিল, খাবারের পরিমাণও ছিল নামমাত্র।
পর্বতরোহীদের ভাষায় একে বলে অ্যালপাইন স্টাইল ক্লাইম্বিং। এই পদ্ধতিতে এগিয়ে পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম মানাসলু শৃঙ্গ জয় করলেন শ্যামবাজার সরকাবাগানের এই বাসিন্দা। অরিজিৎই প্রথম এশীয় হিসেবে এমন নজির গড়লেন। তাঁর আগে মাত্র দু’জন পর্বতারোহী এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন এবং তারা দুজনই ছিলেন ইউরোপীয়।
অরিজিৎ বলেন- অনেকেই ১২-১৩ লক্ষ বা তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করে ৮ হাজার মিটারের চেয়ে উঁচু শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু অ্যালপাইন ক্লাইম্বিং করলে এর চেয়ে অনেক কম টাকাতেই হয়ে যায়। নতুন প্রজন্মের পর্বতারোহীদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম।