আরজি কর মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায় প্রায় তিন দিন ধরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সে বারবার ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মোটেও অনুতপ্ত নয়, সঞ্জয় এখনও শুরু থেকেই সমানভাবে অজ্ঞাত।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। পুলিশের কাছে সে বারবার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তবে মোটেও দুঃখিত নয়। তিনি পুলিশকে বলেছিলেন যে তিনি শুধুমাত্র উত্তেজনার জন্য এই কাজ করেছেন। ধর্ষণের পর সঞ্জয় ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারীদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সঞ্জয়ের মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও রয়েছে। অভিশপ্ত রাতে মাতাল অবস্থায় পর্ন দেখে এমন অপরাধ করলেন সঞ্জয়। তবে বিকৃত যৌনতার কারণে ওই তরুণীকে এমন নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ওই তরুণী চিকিৎসক নাইট শিফটে ছিলেন। তারা আরও কয়েকজন ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খায়, অলিম্পিক দেখেন। এবং সেমিনারে ঘুমিয়ে পড়েন। পুলিশ সূত্রে খবর, ভোরে সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। তরুণীকে একা পেয়ে মুখ টিপে। মেয়েটির সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন সঞ্জয়। লড়াইয়ের মাঝখানে সঞ্জয় ওই তরুণীর মাথা দেয়ালে আঘাত করে। ডাক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে ওই তরুণীকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে জানা গেছে। এর পর তাকে হত্যা করা হয়।