উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি নিয়ে এবার বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিলেন দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতা অনন্ত মহারাজ। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গ কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা না করা হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন সমর্থন করবে কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। অনন্ত মহারাজের এই ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন রাজ্য ভাগ চায় না বিজেপি। সেই জায়গায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থন বিজেপি থেকে সরে গেলে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির ভোট বাক্সে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। বিগত লোকসভা নির্বাচন,বিধানসভা নির্বাচন সহ বিগত দিনের নির্বাচন গুলিতে সরাসরি ভাবে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। বিজেপির বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে জনসভায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অনন্ত মহারাজকে। পৃথক রাজ্যের দাবীকে সামনে রেখেই বিগত দিনে দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস এসোসিয়েশন বিজেপিকে সরাসরি ভাবে সমর্থন করেছিল নির্বাচনগুলিতে। কিন্তু এবার বিজেপির সঙ্গে অনন্ত মহারাজের সেই সম্পর্কে কিছুটা হলেও চির ধরেছে। তাই বিজেপিকে চাপে রাখতে এবার সরাসরি আল্টিমেটাম দিলেন অনন্ত মহারাজ। অনন্ত মহারাজ কে পৃথক রাজ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে সময়সীমা বেধে দেন। তিনি বলেন লোকসভা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো। লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গ কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা না করে তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বিজেপিকে সমর্থন করবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবে। অনন্ত মহারাজের এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে বিজেপি। কোচবিহার জেলা তথা উত্তরবঙ্গে তপশিলি ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে। গত লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থন পেয়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক ভালো ফল করেছে বিজেপি। সেই জায়গায় যদি দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অসোসিয়েশনের সমর্থন বিজেপি থেকে সরে যায় সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরাডুবি হতে পারে বিজেপির। সেই জায়গায় দি গ্রেটার কোচবিহার পিপাস অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থন কোন রাজনৈতিক দলের দিকে যাবে সেটাই এখন দেখার। বিগত দিনে দেখা গিয়েছে দি গ্রেটার কোচবিহার অ্যাসোসিয়েশনের অনন্ত মহারাজ দ্বারা আয়োজিত বীর চিলা রায়ের এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেকে নিয়েছিল অনন্ত মহারাজকে। অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ই সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জায়গায় বিজেপির সঙ্গে অনন্ত মহারাজের দূরত্ব স্থাপন হলে সেই সুযোগ যে তৃণমূল কংগ্রেস নেবে তা বলাই বাহুল্য। এই বিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বরা নিবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, অনন্ত মহারাজকে আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে করি না। তিনি সামাজিক বিভিন্ন কাজকর্ম করেন। বিগত দিনে দেখা গিয়েছে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন। তার কথার সঙ্গে কাজের মিল পাওয়া যায় না। তাই এই বিষয় নিয়ে আমরা যেমন চিন্তিত নই তেমন আনন্দিত নই আবার উচ্ছ্বাসিত নই