তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যবাসীর বাড়ির দরজায় রেশন পৌঁছে দেবে তাঁর সরকার৷ বিধানসভা ভোটের আগে এমনই ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বড় প্রতিশ্রুতি। ইস্তেহারেও অন্যতম বড় চমক ছিল এই প্রকল্প৷ এবার ক্ষমতায় ফিরে সেই কাজই শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। করোনা অতিমারির সময়ে দেরি না করে দ্রুত এই প্রকল্প শুরু করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার৷
আগামী শুক্রবার থেকে রাজ্য়ে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প৷ কোভিড বিধি মেনেই বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ মঙ্গলবার খাদ্যভবনে এক বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুক্রবার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশনের কাজ। আপাতত প্রতিটি জেলায় একটি করে রেশন দোকানের মাধ্যমে এই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে৷
খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন রথীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। যত দ্রুত সম্ভব দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করা হবে। রাজ্যের মোট ২৮ টি রেশন দোকান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে রেশন সামগ্রী। কতটা সাফল্য মিলল, তা নিয়ে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হবে। তারপর আলোচনা সাপেক্ষে নিয়মিত কাজ শুরু করা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি হতে পারে। এই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি বাধা আসতে পারে রেশন ডিলারদের কাছ থেকে। তাই, রেশন ডিলার সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে কী ভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চলছে, সেই বিষয়েও খবর নেওয়া হচ্ছে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই তার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। এই প্রকল্পের জন্য প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে কমিশন দেবে রেশন ডিলারদের৷ প্রথম ১৫ দিন রেশন দোকান থেকেই এই প্রকল্পের জন্য় জিনিস নিয়ে সরবরাহ করবেন রেশন ডিলাররা৷ প্য়াকেজিং বাবদও আলাদা খরচ দেবে রাজ্য়৷