মঙ্গলবার আসানসোল ও দুর্গাপুর, দুই পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করল জেলা প্রশাসন। আসানসোলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, আসানসোলে সাফাইকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, আসানসোলে পুর-এলাকায় ডেঙ্গি বাড়ছে। তা নিয়ন্ত্রণের উপায় বার করতে এই বৈঠক। ডেঙ্গির প্রবণতা রুখতে ১৫ দিনের সময়সীমা নেওয়া হয়েছে। পুরসভাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এবং জানানো হয়েছে যে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করাটাই এখন মূল লক্ষ্য। মঙ্গলবার থেকে তৎপরতায় কাজ হচ্ছে। আবর্জনা সাফাই ও নিকাশির জন্য বাড়তি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। চলছে ‘পেলোডার’ নামিয়ে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ। এ দিন দুর্গাপুরের বৈঠকে জানান এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুর পুর-এলাকায় মোট ৩৫৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন চিকিৎসাধীন। বাকিরা সুস্থ। আরও জানান হয়েছে যে কারখানা, গুদাম, খাটালের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতা যাতে নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার ডেঙ্গি রোধে সৌরভের উপস্থিতিতে বাড়ি-বাড়ি অভিযান চালায় পুরসভা। তিনি জানান, পুরসভার উদ্যোগে আগাছা সাফাই, কুয়োর মুখ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া, কীটনাশক স্প্রে করা, নর্দমায় গাপ্পি মাছ ছাড়া-সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। চলছে সচেতনতা প্রচারও।