ঝড় মোকাবিলায় তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। ঝড় পরিস্থিতিতে কোনদিক থেকে খামতি রাখতে চায় না রাজ্য সরকার। ইয়াস আসার আগে থেকেই প্রতিনিয়ত পরিস্তিতির পর্যালোচনা করছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে। স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। বীরভূম, বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনায়, বিশেষত উপকূলীয় এলাকার যে সমস্ত জায়গাগুলিতে জল ঢুকে গিয়েছে সেখানেশুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধার পর্ব। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলায় এবার নামানো হল সেনা। রাজ্যে র ১০ জেলায় ১৭ কোম্পানি সেনা নামানো হল। ইতিমধ্যেই সেনারা কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে৷ সেখান থেকে চলছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিপদ বেড়েছে। নৌকায় করে চালানো হচ্ছে উদ্ধারের কাজ। যতোই সময় বাড়ছে ততই বাড়ছে জলোচ্ছ্বাস, এমনকি হাওয়ার দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়েছে একাধিক জায়গা। প্রসঙ্গত, গতকালই সরকার তরফে দিঘায় মোতায়েন করা হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে বিপদ এড়ানোর জন্য কলকাতায় সব উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। তবে, কলকাতায় ঝড়ের দাপট তুলনায় কম হবে। কলকাতায় আমফানের মতো পরিস্থিতি হবে না বলে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।