এবারের ২৬ তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিবলে উত্তরবঙ্গ থেকে মনোনীত হল বুদ্ধদেব বর্মনের “লছকাডাঙ্গীর কাথা” ।কয়েক বছর ধরে উত্তরের এই তরুণ চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেবের পরিচালনায় তৈরি বেশ কয়েকটি শর্ট ফিল্ম হয়েছে। তাঁর তৈরি লছকডাঙ্গীর কাথা সিনেমাটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে মনোনীত হওয়ায় খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গ জুড়ে। আর্থিক বাঁধা কাটিয়ে দীর্ঘ তিনবছর ধরে নিজের গ্রাম লছকাডাঙ্গীর রূপ-প্রকৃতি, সন্ধ্যা-সকালের মেঠো জীবন , গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাজকর্মকে নির্বাক চিত্রের মারফত এক অপরূপ সৌন্দর্য এবং জীবন্ত করে তুলে ধরার প্রয়াস এই শর্ট ফিল্মে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর সিনেমা মনোনীত হলেও এখনো যে তাকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে এই উত্তরের বন্ধ্যাজগৎ থেকে তা ভালো করেই জানে। তাই হয়তো সদাসতর্ক , খুশি কিন্তু গম্ভীর গলায় তার প্রতিক্রিয়া, “আরো ভেল্লা কাম করিবা বাকি ছে!” অর্থাৎ আরো অনেক কাজ বাকি আছে করার।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন বড়পথুর লছকাডাঙ্গী থেকে বছর বয়সের তরুণ বুদ্ধদেব যখন শিলিগুড়ি কলেজ থেকে স্নাতক হলেন , তার অন্তর থেকে কিছু একটা করার তাগিদ তাকে টেনে নিয়ে যায় কলকাতার যাদবপুরে। ভর্তি হয় ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা। সেই ইচ্ছে থেকে বন্ধু সহপাঠীর ক্যামেরা ধার করে এনে একটু একটু করে রূপ দেয় নিজ গ্রামের চিত্র। আর বর্তমানে সেই নিজের গ্রাম লছকাডাঙ্গীর কথা এখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সবার সামনে চিত্রিত হবে। দারিদ্র্য , অনটন দমিয়ে রাখতে পারে নি তার প্রতিভাকে। বুদ্ধদেব বর্মন জানান , ” এই শর্ট ফিল্মটি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজায়গায় মনোনীত হয়েছে। এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, শিলিগুড়ি সিনে, সহ একাধিক ফিল্ম ফেস্টিবলে মনোনীত হয়ে এবার স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সিনেমা জগতে। উত্তরবঙ্গের এই তরুণ পরিচালকের এই সাফল্যে রীতিমতো খুশি এবং গর্বিত উত্তরবঙ্গবাসী।