কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার , জলপাইগুড়ির পর এবার শিরোনামে মালদা জেলা। খবর তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। রাজ্যের মন্ত্রীর পদ থেকে শুভেন্দুর পদত্যাগের পর থেকেই জেলায় জেলায় সেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে প্রকাশ্যে আসছে। দাদা এখনো তৃনমূল না ছাড়লেও ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় দাদার অনুগামীদের সঙ্গে দলের অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। এদিন মালদার হরিশচন্দ্রপুরে প্রকাশ্যে ব্লক যুব সহসভাপতি আইনুল হক সভাপতি মনোতোষ ঘোষের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সংবাদ মাধ্যমে ।
যুব সহসভাপতির অভিযোগ জেলা সভাপতির তৈরী করা যুব তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটিতে নিজে থেকে ৩ জনের নাম যুক্ত করেছেন।যাদের মধ্যে দুজন আবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।এদিকে সভাপতি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন |
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের পূর্ণাঙ্গ যুব কমিটি ঘোষণা করেন যুব তৃণমূলের সভাপতি মনোতোষ ঘোষ। বলা হয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্লকে যুব সংগঠনের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের নির্দেশে এই কমিটি গঠন হয়েছে।নতুন কমিটিতেই হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকে যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি হয়েছেন আয়নাল হক। আর এই নতুন কমিটি নিয়েই সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ।
অভিযোগ জেলা সভাপতি যে লিস্ট তৈরী করেছিলেন তার বাইরেও মনোতোষ ঘোষ অতিরিক্ত তিনজনকে কমিটিতে রেখেছেন।এই নিয়ে জেলা সভাপতিকেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।জেলা সভাপতির নির্দেশেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন এই অভিযোগ করেন।আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে তৈরী হয়েছে বিতর্ক। কমিটি ঘোষণার দিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকেও তৈরী হয়েছিল বিতর্ক।
আয়নাল হক বলেন, ” জেলা তৃণমূলের যুবসভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের নির্দেশেই আমাদের কমিটি গঠন হয়েছে ।উনি কমিটির যে লিস্ট পাঠিয়েছিলেন তার বাইরেও মনোতোষ ঘোষ তিনজনের নাম ঘোষণা করেছেন।সাংবাদিক সম্মেলনেও আমাদের ডাকা হয়নি । আমি জেলা সভাপতির কাছে ফোন মারফত অভিযোগ জানিয়েছি। “
তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জি বারবার নির্দেশ দেন তৃণমূলের সকলে যাতে একসাথে চলে।কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্তরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে।বিধানসভা ভোটের আগে দলের জন্য যা যথেষ্ট চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।