শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিন শিশু সন্তানদের বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করল গৃহবধূ। ওই ঘটনায় মালদার চাঁচলের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় তিন সন্তান সহ মাকে সঙ্কটজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ গৃহবধূর নাম পুনম মন্ডল (৩৫)। তার দুই মেয়ে নন্দিনী মন্ডল (৩), মাহি মন্ডল (৪ মাস) এবং এক ছেলে সূর্য মন্ডল (৫)। প্রত্যেকেই বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। এই তিন ছেলে ও মেয়েকে নিয়েই পুনম মন্ডল বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়িতেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় ওই গৃহবধূর স্বামী সুমিত মন্ডল বাড়িতে ছিলেন না।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে , শাশুড়ির সবো মন্ডলের সঙ্গে প্রায় দিনই ঝগড়া লেগেই থাকত পুত্রবধূ পুনম মন্ডলের। বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ফের শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে তুমুল অশান্তি বাঁধে সেই সময় পুত্রবধূকে চড়, থাপ্পড় মারে শাশুড়ি বলে অভিযোগ। আর সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কোলের তিন ছেলেমেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে গৃহবধূ পুনম মন্ডল । তাদের গোঙানির আওয়াজ শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় অসুস্থদের মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
এদিকে এই ঘটনার পর বৃদ্ধা শাশুড়ি অবশ্য নিজের বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছেn অসুস্থ গৃহবধূ পরিবার অবশ্য এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন । পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে রতুয়া থানায় নালিশ জানানোর কথা জানিয়েছেন তারা। এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।