নারায়ণা হেলথ সিটি বেঙ্গালুরুর মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি টিমের চিকিৎসায় ১১ বছরের গরিমা কলিতা আবার জীবনের ছন্দে ফিরতে পেরেছে। সে মাথা ও ঘাড়ের এক অত্যন্ত বিরল ক্যান্সারে ভুগছিল। স্বাভাবিক সুস্থতা নিয়ে জন্ম হলেও আসামের বড়কুরিহা গ্রামের গরিমা ১ বছর ১০ মাস বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল বুঝতে পেরে গুয়াহাটির চিকিৎসকরা তাকে নারায়ণা হেলথ সিটি বেঙ্গালুরুর ‘হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার ডিপার্টমেন্টে’ রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে তাকে একাধিকবার সার্জারি করতে হয় – ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে। বর্তমানে গরিমা রোগমুক্ত, দেখতেও প্রায় স্বাভাবিক। এক নতুন জীবনের আশা নিয়ে সে বাড়িতে ফিরেছে।
নারায়ণা হেলথ সিটি বেঙ্গালুরুর কনসাল্টেন্ট ও চিফ, হেড অ্যান্ড নেক সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি, ড. বিজয় পিল্লাই জানান, ছোটদের মধ্যে ‘হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার’ খুবই বিরল এবং রাইট ম্যাক্সিলার ফাইব্রোমিক্সয়েড সারকোমা বিরলতম। গরিমার ক্ষেত্রে এমন এক বিরল ক্যান্সার ছিল যা আবার ফিরে আসে ও শারীরিক গঠনে লক্ষ্যণীয় ছাপ ফেলে। এক্সপার্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি টিম ও অভিজ্ঞতার সাহায্যে তার চিকিৎসা করা হয়েছে এবং তাকে প্রায় স্বাভাবিক চেহারা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গরিমার সুস্থ হওয়ার পিছনে রয়েছে নারায়ণা হেলথ সিটি বেঙ্গালুরুর সার্জিক্যাল অঙ্কোলজির টিম ওয়ার্ক, রিহ্যাবিলিটেটিভ ও প্রস্থেটিক টিম, রেডিয়েশন অঙ্কোলজি, নিউরোসার্জিক্যাল ও থোরাসিক অঙ্কোলজি টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।