করোনার টিকা কোভ্যাক্সিন যত দ্রুত সম্ভব বাজারে আনতে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি চলছে ভারত বায়োটেকে। দু’সপ্তাহের মধ্যেই কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করার কথা রয়েছে। তার মধ্যেই ভ্যাকসিনের ডোজ ও সময়ান্তরে পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়া চলবে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ১২টি হাসপাতালে হবে টিকার পরীক্ষা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তত ১১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তার মধ্যে দিল্লির এইমস, কাঞ্চীপুরমের এসআরএম হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার, বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজে স্বেচ্ছাসেবকের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার জন্য অ্যাডভাইজরি কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এইমস জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কমিটির অনুমোদন পেলেই বাছাই পর্ব শুরু হবে।
ভারত বায়োটেকের টিকা পরীক্ষার জন্য প্রথম পর্যায়ে বেছে নেওয়া হবে সাড়ে তিনশো জনের বেশি। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় সাড়ে সাতশো জনকে। সুস্থ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি যাদের কোভিড বা অন্যান্য সংক্রমণ নেই, রক্তচাপ স্বাভাবিক ও কোনও ক্রনিক অসুখ নেই, তাদেরকেই ‘বিবিভি১৫২’ তথা কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। ১৪ দিনের ফারাকে দুটি ইন্টারমাস্কুলার ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। ২৮ দিনে শরীরে টিকার প্রভাব সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটি-কে রিপোর্ট দেবে ১২টি সংস্থা।
রোহটাকের ডাক্তার সবিতা ভার্মা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিন নিতে তৈরি অনেকেই। সরকারি অনুমোদন এলেই তাঁদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে। তবে ভারত বায়োটেক এখনও ভ্যাকসিনের স্যাম্পেল পাঠায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) থেকে সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে ল্যাবোরেটরিতে তার স্ক্রিনিং করে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট বানিয়েছে ভারত বায়োটেক। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করা হয়েছে। তাদের বায়োসেফটি লেভেল-৩ ল্যাবোরেটরি আন্তর্জাতিক মানের। সেখানে ভাইরাল স্ট্রেন নিয়ে কাজ করার সময় সবরকম সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হয়েছে।