সেতু সারাতে বিপুল খরচ। অর্থের জোগান ভাবাচ্ছে কে এম ডি এ’কে।কলকাতা শহরের একাধিক সেতুর ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফেলেছেন ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্যরা। সেই অনুযায়ী কিছু সেতুর অবস্থা ভীষণ খারাপ। কালীঘাট, চিংড়িঘাটা ও বাঘাযতীন সেতুর অবস্থা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এছাড়া বাকি বেশ কিছুর স্প্যান বদল, কোথাও এক্সপ্যানশন জয়েন্ট মেরামত আবার কোথাও বছরভর রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এমনও সেতুর তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। এবার সেই তালিকা অনুযায়ী কাজ শুরু করবে কে এম ডি এ। কিন্তু এই সব কাজ করতে গিয়ে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হবে তা জোগাড় করা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য নগরায়ন দফতর।
প্রথমেই সংষ্কার করতে হবে কালীঘাট ব্রিজ। যদিও এই ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে তৈরির পক্ষে মত দিয়েছে সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটি। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এই সেতু ভেঙে কাজ করতে গেলে যে ধরণের যানজট তৈরি হয়ে যাবে তা মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব এই মুহূর্তে। তাই দ্রুত সংষ্কারের কাজে হাত দেবে কে এম ডি এ। এই কাজ করতে গিয়ে কালীঘাট সেতুর স্প্যান বদল ও পিলার সংষ্কারের জন্যে খরচ পড়বে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। এর পরে কাজ করা হবে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু শিয়ালদহ বিদ্যাপতি সেতুর। আগামী সপ্তাহে এই সেতু নিয়ে হকার কমিটির সাথে আলোচনা করবে কে এম ডি এ। তাদের অন্যত্র সরিয়ে সেতু সংষ্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সেতুর ভার লাঘব করতে পিচের আস্তরণ সরানো হয়েছে। এই সেতু সংষ্কারের জন্যে খরচ ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা।
এরপর সংষ্কারের তালিকায় আছে বালিগঞ্জ বিজন সেতু। এই সেতুর পিলার, এক্সপ্যানশন জয়েন্ট সহ একাধিক জায়গায় নানা ধরণের অসুবিধা ধরা পড়েছে। খালি চোখে ধরা পড়া ফাটল সারানো গেলেও ভিতরের কাজ নিয়ে এখনও সংশয় আছে। সেই কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। এই কাজের জন্যে খরচ ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। একই সাথে কাজ হবে ঠিক গঙ্গার বিপরীত পাড়ের বঙ্কিম সেতুতে। এই সেতু সংষ্কারের জন্যে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। উল্টোডাঙা সেতু সময় নিয়ে সংষ্কার করা হয়েছে। এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি আছে তা করতে খরচ হবে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ফলে সব মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হবে এই সব সেতু সংষ্কার করতে গিয়ে।