উৎসবের মরশুমে বাড়তি শিপমেন্ট ডেলিভারির জন্য ফ্লিপকার্টের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি কিরানা। এদের মধ্যে রয়েছেন এই রাজ্যের হাজার হাজার ছোটো রিটেলার। ফ্লিপকার্টের কিরানা প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে তারা আসন্ন বিগ বিলিয়ন ডেজ চলাকালীন লক্ষ লক্ষ ফ্লিপকার্ট গ্রাহককে নিরাপদ ডেলিভারি দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। এই কিরানা প্রোগ্রাম আসাম ও ভারতের অন্যত্র হাজার হাজার কিরানাকে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে এবং নিরাপদ ও স্যানিটাইজড পদ্ধতিতে গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করছে। তারা প্রযুক্তির সুবিধাগুলিও আয়ত্ত্ব করছেন।
আসামের ঘিলাগুড়ি গ্রামের ২৮ বছর বয়সী মইনুদ্দিন আহ্মেদ গত মার্চ মাসে ফ্লিপকার্টের কিরানা প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছেন। মইনুদ্দিনের বাবার কিরানা স্টোর লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন ফ্লিপকার্টের কিরানা প্রোগ্রাম তাদের পরিবারের প্রধান আর্থিক সহায়। আসন্ন উৎসবের মরশুম ও বিগ বিলিয়ন ডেজ থেকে তার প্রত্যাশা কেমন তা জানাতে গিয়ে মইনুদ্দিন বলেন, এইসময়ে মানুষ ভিড়ে ভরা বাজারে না গিয়ে অনলাইনে অর্ডার দিতেই বেশি পছন্দ করছেন। তার আশা তিনি আরও বেশি পার্সেল পাবেন এবং আরও বেশি ডেলিভারি দিতে পারবেন। এভাবে গ্রাহকদের ঠিকসময়ে ও নিরাপদে তাদের অর্ডার দেওয়া সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে তিনি বাড়তি আয়ও করতে পারবেন।
মইনুদ্দিনের বাবার স্থানীয় মুদিখানা এখন এক মিনি-গুদামে পরিণত হয়েছে। এখানে বসেই মইনুদ্দিন প্যাকেজ গ্রহণ করেন এবং দৈনিক ডেলিভারির জন্য তৈরি হন। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মইনুদ্দিনের কাছে ‘টপ প্রায়োরিটি’, আর এজন্য তিনি ফ্লিপকার্টের প্রশিক্ষণকেই ধন্যবাদ জানাতে চান। গত ছয় মাসে ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করার ফলে মইনুদ্দিন এখন আশপাশের গ্রামবাসীদের কাছে খুবই পরিচিত মুখ। আমগুড়ি ঘাট, নালী, রংঘর চার্লি, হাটুকুক, আমগুড়ি গাঁও, মেটেকা ও ধুলিয়াপারের বাসিন্দারা আজকাল সরাসরি তার কাছে ফোন করেই তাদের অর্ডারের ডেলিভারির ব্যাপারে জানতে চান। আসন্ন উৎসব ও বিগ বিলিয়ন ডেজের আগে হাজার হাজার কিরানা ফ্লিপকার্টের কিরানা প্রোগ্রামে যোগ দিচ্ছেন, আর মইনুদ্দিনের মতো মানুষ দ্রুত ও পার্সোনালাইজড ই-কমার্স এক্সপিরিয়েন্স দেওয়ার ব্যাপারে উত্তর ভারতের অসংখ্য গ্রাহকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন।