প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘মেনিনজাইটিস’-এ আক্রান্ত হন। তার পর থেকেই কথা বলার সময় উচ্চারণ জড়িয়ে যায়। সে কারণে দুই বার বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের পরীক্ষায় পাস করেও চূড়ান্ত বাছাইতে বাদ পড়েন শিলিগুড়ির তরুণ সংকেত পাল। কিন্তু তাতে দমার পাত্র নন সংকেত। এ বার স্টাফ সিলেকশন কমিশনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র পোস্টের সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সিভিলে প্রথম হয়েছেন ওই তরুণ। শিলিগুড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সংকেত এই সুবাদে পুনেতে সেন্ট্রাল ওয়াটার পাওয়ার রিসার্চ স্টেশনে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র হিসাবে কাজে যোগ দিতে চলেছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। বাবা সুব্রত পাল বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। মা তড়িতা পাল বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত। বোন সমতা শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। বোনের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। সংকেতের কথায়, ‘‘অসুখের পর থেকে কথা জড়িয়ে যায় বলে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনে সুযোগ পাইনি। কিন্তু অপেক্ষা করে তার চেয়ে ভাল সুযোগ এসেছে। বোনের কাছে আমি আর্থিক দিক দিয়ে যে উপকার পেয়েছি তার জন্যই এতদূর যেতে পেরেছি।’’
শিলিগুড়ির মার্গারেট (সিস্টার নিবেদিতা) ইংরেজি হাই স্কুলেই ছোট থেকে পড়াশোনা। এখন থেকেই দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশ করে শিলিগুড়ি সুরেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়রিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে বিটেক করেছেন ২০১৮ সালে। এর পরে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি থেকে এমটেক করেন ২০২০ সালে। গত নভেম্বরে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের এই পরীক্ষায় বসেছিলেন।