রেলের  ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় টিউমার, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না

চিকিৎসক এবং বন কর্মীদের সব রকমের  প্রচেষ্টার পরও বাঁচানো গেল না দাতাল হাতি টিউমারকে।  গত ২৮ ডিসেম্বর মুঙ্গিয়াকামি থানা এলাকার লক্ষ্মীপুর এডিসি ভিলেজ  এলাকাতে রেলের  ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় টিউমার। বনদপ্তরের চিকিৎসক এবং বনকর্মীরা  হাতিটিকে বাঁচিয়ে তুলতে সব রকমের প্রয়াস চালিয়ে ছিলো এবং বহিঃরাজ্যর পশু চিকিৎসকদের কেও রাজ্যে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, গতকালও হাতিটি চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিল। জল  খাবার  মুখে নিয়েছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই শারীরিক অবস্থা অবনীতির দিকে যাচ্ছিল। রাত্র প্রায় ১০ টা নাগাদ টিউমার নামের হাতিটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ।

টিউমারের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই বনদপ্তরের কর্মী এবং পশুপ্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই আশপাশ এলাকার বহু মানুষ টিউমারকে দেখতে ভিতর জমিয়ে ছিল মরদেহের পাশে, শেষ শ্রদ্ধাও জানায়। পূজা অর্চনা করে শেষ শ্রদ্ধা জানান খোয়াই জেলা বন আধিকারিক এ কে বোরদে সহ অন্যান্য বন আধিকারিকগণ। জেলা বন আধিকারিক বোরদে  জানান, আমরা চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেনি হাতি টিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য। গুজরাটের  জামনগর থেকে গতকালকেই হাতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল রওনা দিয়ে দিয়েছিল। হেলিকপ্টার দিয়ে হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসা করার জন্য টিমও রেডি করা হয়েছিল। 

হাতিটি আমাদের সেই সুযোগ আর দেয়নি। হাতিটির পোস্টমর্টেমের কাজ শেষে হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এদিকে যে জায়গাতে হাতিটি রেলের ধাক্কায় আহত হয়েছে, সেই জায়গাটি হাতি চলাচলের এলাকা। এই এলাকা দিয়ে রেলের গতি ও কম থাকার কথা ছিল। রেলের গতি ছিল অনেক বেশি। জেলা বন আধিকারিক  অক্ষয় কুমার বোরদে জানান, গতকালকেই রাজ্যের আরপিএফ থানাতে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে রেল দপ্তরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।