ডাক্তারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বসতে চলেছে নতুন ‘হাই সিকিউরিটি ডোর’। প্রথম দফায় ২৮টি নতুন এই অত্যাধুনিক সিকিউরিটি ডোর বসতে চলেছে। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত ঘরগুলোতে এই ‘হাই সিকিউরিটি ডোর’ লাগানো হবে। দরজার বাইরে থাকবে ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন’ সেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের হাতের ছাপ আগে থেকে ইনস্টল করে রাখা হবে। ওই সকল চিকিৎসকদের আঙুলের ছাপ মেশিনে দিলেই খুলবে দরজা। ওয়েবেলের তরফে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরিদর্শন করে সমস্ত বিষ্যটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও নতুন করে আরও ৪১টি সিসিটিভি ক্যামেরা ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল চত্বরে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে একেবারে নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, “আমাদের মেডিক্যাল কলেজে প্রথম দফায় ২৮টি ‘হাই সিকিউরিটি ডোর’ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, আরজি করের ঘটনার পর দুটি ধাপে মোট ২১০টি সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিসিটিভিগুলো লাগিয়ে দেওয়ার কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
নতুন করে আরও ৪১টি সিসিটিভি লাগানোর কাজ করা হবে। ৬০ জন অতিরিক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আগে ৮০জন নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০জনে। এছাড়াও নজরদারি বাড়াতে ক্যাম্পাসজুড়ে টহলদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ক্যাম্পাস বা হাসপাতালের দিকে যাতায়াতের জন্য যে সকল পথ ব্যবহার করতেন তা বন্ধ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ৫০টি নতুন শৌচাগার তৈরির কাজও হাতে নিয়েছে। আরজি কর ঘটনার পরে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। যারমধ্যে ৪২টি শৌচাগার ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কাজ চলছে।