অভিনেতা পরমব্রতের দুঃস্বপ্নময় অতীতের সত্য ফাঁস করল রজতাভ

অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় কেমন ‘কর্মী’ ছিলেন? পুরনো দিনের সব গোপন কথা ফাঁস করে দিলেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন রজতাভ। একঝাঁক কোঁকড়ানো মাথার লম্বা ছেলেটা ছবির জগতে যখন প্রথম কাজ করতে শুরু করলেন, তাঁকে সকলে নাম দিলেন ‘এঁচোড়ে পাকা’। এই বিশেষণটি বহুদিন নিজের নামের আগে বয়ে বেড়াতে হয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। এঁচোড়ে পাকা পরমব্রত কর্মী হিসেবে কেমন ছিলেন। জানা গিয়েছে, পরমব্রত কাজের জায়গাতেও পাকামি করতেন কি না। এবং সেই কথাগুলো খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা রজতাভ দত্ত।

অভিনেতা রজতাভ বলেছেন, “একটা সময় পরমব্রত পুরো মামদোবাজি করে চালাত। পরিচালকের দুঃস্বপ্নে যে সব অভিনেতারা থাকেন, পরমব্রত ছিলেন তাঁদের মধ্যে।” তারপর পরমব্রতর সঙ্গে কাজ করার একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন রজতাভ। বলেন, “পরমব্রত ব্যাংককে গিয়েছিল শুটিং করতে। সেই সময় ও ফেলুদায় তোপসে করত। বিদেশে শুটিং তখন খুব বেশি হত না। টাইট শিডিউল ছিল। সেই টানাটানির মধ্যেই পরমব্রত দেরি করে উঠত ঘুম থেকে। জিমে চলে যেত। বলতে শুরু করত, একদিন যদি জিম না করে তাহলে শরীর টস্কে যাবে। এদিকে গোটা ইউনিট–বাবুদা (সন্দীপ রায়), বেণুদা (সব্য়সাচী চক্রবর্তী), টোটা (টোটা রায়চৌধুরী) অপেক্ষা করছে কখন পরমব্রত আসবে। পরম অনায়াসে এগুলো করতে পারত সেই সময়।”

রজতাভ দত্ত সেই সঙ্গে এটাও বলেছিলেন যে, সময় এবং বয়সের সঙ্গে পরমব্রত অনেক পাল্টে গিয়েছেন। এখন আর তিনি আগের মতো নেই। অনেকবেশি পেশাদার এবং পরিণত তিনি।