আগামী বিধানসভা ভোটে এখন লক্ষ্য রাজ্যের শাসক শিবিরের৷ এই বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরা৷ উত্তরবঙ্গ জয় এখন প্রধান লক্ষ৷ এবার ফের ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী বুধবার আগরতলায় পদযাত্রা করবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইট করে সে কথা জানালেন কুণাল ঘোষ৷ তাঁর সঙ্গে ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারেন এই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের বহু প্রথমসারির নেতা। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে ত্রিপুরার মাটি৷ সম্প্রতি গোটা দেশ দেখেছে ত্রিপুরায় বাম-বিজেপি’র সংঘর্ষে কী ভাবে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল আগরতলা৷ প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় হামলার শিকার হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা–নেত্রী। হামলার শিকার হয়েছিলেন স্বয়ং অভিষেকও। কিন্তু তাঁরা থেমে যেতে নারাজ। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই সংগঠন আরও জোরাল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখানে পদযাত্রা করে সেটা বুঝিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কয়েকদিন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, গরু–পাচারের সঙ্গে যুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একদফা জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা। দ্বিতীয় নোটিশ পাঠালেও তিনি যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিপ্লব গড়ে পদযাত্রা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তর–পূর্বের রাজ্য।
২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমি শক্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিপ্লব গড়ে ২১ জুলাই, খেলা হবে দিবস, রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেছে বাংলার শাসকদল। ত্রিপুরায় দলীয় কার্য়ালয় তৈরি করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় দলের সংগঠন মজুবত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুস্মিতা দেবকে। সেখানে তিনি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সদস্য সংগ্রহে ম্যাজিক দেখিয়েছেন। বাংলায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেই ত্রিপুরা জয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিপ্লব দেব সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বারবার ত্রিপুরা ছুটে যাচ্ছেন তিনি।