আগেই ঘোষিত হয়েছিল রাজ্য সরকার তরফে এবার নেওয়া হল সিদ্ধান্ত। বাংলার কৃষিক্ষেত্রকে আরও সমৃ্দ্ধ করতে দ্বিতীয় দফায় ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প চালু হল আনুষ্ঠানিকভাবে। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকদের দপ্তর থেকে প্রকল্পের জন্য মাথা পিছু বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া শুরু হয়ে গেল। তৃতীয়বার হ্যাট্রিক করে ক্ষমতায় আসতেই তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে খেতমজুর, বর্গাদারদের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁরা মাথা পিছু চার হাজার টাকা করে পাবেন। লক্ষ্মীবারেই লক্ষ্মীলাভ হল বাংলার কৃষকদের। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে কৃষকদের বার্ধক্যভাতাও। এককথায় মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কথা দিয়েছিলেন, রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরলে কৃষকদের জন্য আরও কাজ করবেন। সেই মতোই কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্পটি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এদিন নবান্ন সভাঘর থেকে ‘নতুন কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভার্চুয়াল সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, ‘রাজ্যের ৬টি জেলায় রেকর্ড পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি, পশুপালন এবং মৎস্যচাষ করা হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের কৃষকদের নোনা স্বর্ণ ধানের বীজ দেওয়া হচ্ছে। রাসায়নিক থাকছে কিটেও। আজকে ২২টা জেলায় ৯ লাখ ৭৮ হাজার কৃষককে ২৯০ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।