আইআইএসইআর-এর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অনিন্দিতা ভদ্র বলেন, “সাধারণ মানুষের থেকে নমুনা নিয়ে লাগাতার পরীক্ষার পরে দেখা গিয়েছে, লকডাউনে কুকুর-বেড়ালেরা এলাকাছাড়া হয়েছে। তাদের স্বভাব বদলাতে দেখা গিয়েছে খাদ্যাভাবের কারণে। মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াও প্রভাব ফেলেছে।” সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, বাজার বা জনবসতি এলাকায় কুকুর, বেড়ালদের খাবার পেতে সে ভাবে সমস্যা হয় না। অফিসপাড়ায় এই সমস্যা বেশি হওয়ায় সেখানকার কুকুর, বেড়ালদের স্বভাবে বদলও ঘটেছে বেশি মাত্রায়। তাই তাদের নিয়মিত খাওয়ানোর ব্যাপারটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে তাঁদের দাবি।
সেই কাজে নিযুক্ত হলেন হাওড়া সিটি পুলিশ এর ট্রাফিক গার্ডের অফিসার কর্মীরা। হোটেল দোকানপাট সব বন্ধ তথা লোকজন রাস্তায় কম বেরোচ্ছে ফলে অভুক্ত পথকুকুরদের বাঁচাতে তাই নিজেদের টাকায় দুবেলা খাবার দিচ্ছেন ওই পুলিশকর্মীরা। প্রথমে তারা বিস্কুট কিনে, কিন্তু তাতে কুড়ি থেকে ত্রিশটি কুকুরের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়, তাই কোনদিন রান্না হয় খিচুড়ি আবার কোনদিন ভাত তরকারি। দুপুর ১২ টা রাতের দিকে কলাপাতা থালায় প্রত্যেকটি পথশিশুদের খাবার দেওয়া হয়। ট্রাফিক গার্ডের পদস্থ এক অফিসার বলেন “ওরা খাবারের আশায় অসহায়ের মত মত তাকিয়ে থাকতো, আমাদের মনে হয়েছিল ওদের বাঁচানোর দরকার তাই প্রতিদিন দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছি।” কলকাতা পুলিশের গরফা, যাদবপুর, কসবা, মানিকতলা, শ্যামপুকুর, বড়তলা থানার পুলিশ কর্মীরাও দু’বেলা রান্নার ব্যবস্থা করেছেন। শহরের নানা রাস্তায় কুকুরদের খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করছেন তাঁরা।