সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে একগুচ্ছ গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই গাইডলাইনে নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২৫ মে। সেক্ষেত্রে ২৬ মে অর্থাৎ আর ঠিক দুদিন পরেই লাগু হতে চলেছে বিধি-নিষেধ। অথচ সরকারি সূত্রের দাবি, ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো কোনও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিই সেই নিয়ম মেনে পদক্ষেপ নেয়নি। যার জেরে মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রের রোষে পড়তে পারে তিন সংস্থা। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়েছে, নিয়ম না মানলে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত হতে পারে। কেন্দ্র আগেই জানায় যে রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় তাদের সদর দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এখনই এই নীতিতে সায় দিতে পারবে না। কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জানিয়েছে, সম্পূর্ণ গাইডডলাইন মেনে চলতে তাদের ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ ইস্যুতেও ভারতের রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই নয়া গাইডলাইন কতটা কার্যকর হয়। সরকার কি পদক্ষেপ নেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।