সিংহের থাবায় ওই ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। সিংহের থাবায় ওই ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনা ঘিরে এদিন দুপুরে চিড়িয়াখানাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। নজর এড়িয়ে কীভাবে ওই ব্যক্তি সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে সিংহের এনক্লোজারের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিতে। পরে এনক্লোজারের পাশের গাছ বেয়ে টপকে খাঁচার মধ্যে ঢুকে পড়েন সাধুবেশী এক ব্যক্তি। এরপরই ওই ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সিংহ। ফলে ব্যক্তির শরীরে সিংহের থাবা লেগেছে। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা রক্ষীদের ওই ঘটনা নজরে আসে। কোনও মতে খাঁচা থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। কর্মীদের তৎপরতায় এড়ানো গিয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা।
সিংহের আক্রমণে গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। প্রথমে, ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা না গেলেও পুলিশ পরে জানায় জখম ব্যক্তির নাম গৌতম গুছাইত। ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্যও এখনও বুঝতে পারা যায়নি।
১৯৯৬ সালে আলিপুরচিড়িয়াখানায় বাঘিনী শিবার গলায় মালা পরাতে খাঁচায় ঢুকে পড়েন এক যুবক। শিবার আক্রমণে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর চিড়িখানার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। চিড়িয়াখানাজুড়ে বসে সিসিটিভি। মোতায়েন হয় বেশি সংখ্যায় নিরাপত্তা রক্ষী। কিন্তু তারপরও মারমোসেট থেকে বিজেশি পাখি চুরি গিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে। এরপর আজ সিংহের খাঁচায় টপকে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। ফলে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে- তা স্পষ্ট।